মির্জাগঞ্জ প্রতিনিধি ॥ পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জর কাকড়াবুনিয়া ইউনিয়নের গাজীপুরা গ্রামের গরীব পান বিক্রেতা ওমেষের স্ত্রী সবিতা রাণী কষ্টে ভরা কন্ঠে বলেন ঘর দেবে কইয়্যা টাকা নিছে, ছবি নিছে, ভোটার কার্ডের ফটোও নিছে। হুনছি মোগো প্রধানমন্ত্রী অসহায়দের ঘর দিছে। কিন্তু মোরা তো ঘর পাইলাম না। তিনি আরও বলেন, ঘর দেওয়ার কথা কইয়্যা মোগো গ্রামের তসলিম সিকদার মোর ও পোলার কাছ থেকে ১০ হাজার টাহা নিছে। বলছে চেয়ারম্যানের টাকা দিলে ঘর দিবে। সে চেয়ারম্যানের লগেই থাহে। কত লোহে ঘর পাইলো, কিন্তু মোগো ঘর দিলো না। এখন টাহা ও ফেরত দেয়না, এই ভাঙাচুরা ঘরে থাহি। কোন রহম পান বেচিয়া জীবন চলে। ঘর আর কপালে জুটলোনা। স্থানীয় সাবেক ইউপি সদস্য মো. ফোরাম মিয়া বলেন, ওমেষ ও তার স্ত্রী দুই একদিন আগে আমার কাছে আসছিলো। ঘরের জন্য তারা নাকি তসলিমের মারফত চেয়ারম্যানকে ১০ হাজার টাকা দিছে। তসলিম সিকদারের সাথে (০১৭৯৪২০২৭৩২) নম্বরে কথা বললে তিনি জানান, ঘরের জন্য আমি, ওমেষের স্ত্রী সবিতা ও বিধবা আমেনা চেয়ারম্যানের উপস্থিতিতে বোর্ড অফিসে বসে একটি টেবিলে টাকা রাখছি। আমরাও তো ঘর পাইনি। কাকড়াবুনিয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মোঃ জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ঘর দেওয়ার নাম করে আমি কারও কাছ থেকে কোন টাকা নেইনি। মির্জাগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ সরোয়ার হোসেন বলেন, এরকম কোন অভিযোগ পাইনি। লিখিত অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
Leave a Reply